প্রেমের টানে ১ সন্তানের জননী আফসানা ২ সন্তানের জনক রাজুকে নিয়ে উধাও হওয়ায় বেগমগঞ্জ ও চৌমুহনী শহরে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী জানায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের সুতা ব্যাপারী বাড়ির জান্নাতুল ফেরদাউস পলি’র সঙ্গে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পণ্ডিতবাড়ীর মহিব উল্যার পুত্র মিজানুর রহমান রাজুর সঙ্গে ৮ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়।
বিয়ের পর তাদের কোল আলোকিত করে ২ সন্তান জন্ম নেয়। এরই মাঝে রাজুর সঙ্গে চরশাহী ইউনিয়নের ছোট বল্লভপুর গ্রামের রেনুমিয়া মাস্টারবাড়ির বীমার দালাল দুলালের ছেলে সুমন-এর স্ত্রী আফসানার পরকীয়ার সম্পর্ক ঘটে। তাদের পরকীয়া নিয়ে সবার মুখে মুখে পাড়া-মহল্লায় এমনকি চায়ের দোকানে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইত। এরই সুবাধে গতকাল বিকালে দেহ ও মনের জ্বালা মিটাতে এক সন্তানের জননী আফসানা দুই সন্তানের জনক রাজুকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে।
রাজুর স্ত্রী পলি সাংবাদিকদের জানান, বিবাহের পর থেকে ভালোভাবে আমরা দুইজন সংসার জীবন অতিবাহিত করে আসছি। যখন জানতে পেরেছি আমার স্বামী রাজু, সুমনের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত। তাকে নানা ভাবে ফেরানোর চেষ্টা করি, অবশেষে আমি ব্যর্থ। তিনি আরো জানান, চরিত্রহীন ওই নারী সুমনের ঘরে আসার আগেও আরো দুই সংসার ভেঙেছে। এখন বুঝি আমার কপালও পুড়েছে। রাজুর মা জানান, আমার ছেলে তার স্ত্রী ও নাতি-নাতনিকে নিয়ে সুখী ছিল। সে আমাদের সংসারে আসার পরে তার মা বাবার মতো সেবা-যত্ন করে যাচ্ছে। হঠাৎ এক ভয়াল আগ্রাসী থাবা বিলীন করে দিল সাজানো-গোছানো এ সংসারের সুখ।
এ বিষয়ে মক্ষীরাণী আফসানার স্বামী সুমনের বাড়িতে জানতে গেলে সুমন সাংবাদিকদের দেখে পালিয়ে যায়। সুমনের পিতা বীমার দালাল দুলাল আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম ব্যবহার করে হুমকি প্রদর্শন করে। তবে এলাকাবাসী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ নারী হিংস্র প্রকৃতির সে এর আগেও দুটি সংসার নষ্ট করে এসেছে। স্থানীয় জনগণের মাঝে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। সূত্র: মানবজমিন।